চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
যুব অনুর্ধ-১৯ এ ভারতকে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। গত বছরেও বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাট করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের বোলিং দাপুটে ৪৯ ওভার ১ বলে ১৯৮ রানেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশেী যুবারা। মাত্র ৩৫ ওভার ২ বলে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে এই পরাজয়ের স্বাদ পায় ভারতীয় যুবারা।

ছোট ছোট ইনিংসে মাঝারী সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ
জয়ের স্বাদ পেলেও বাংলাদেশ নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি। ওপেনার ভাল শুরু করলেও ৪৫ বল খেলে ২০ রান করে আউট হন। ওপেনার সঙ্গী কালাম সিদ্দিকী ১৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। বাংলাদেশী অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে বাংলাদেশের ইনিংস গড়তে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস এবং রিজান হোসেন। ৬৭ বলের মোকাবেলায় জেমসের অবদান ৪০ রানের আর ৬৫ বলের মোকাবেলায় রিজান হোসেনের অবদান ৪৭ রানের।
পরাজিত হলেও ভারতের বোলিং লাইন ছিল সফল
মিডল অর্ডারে উইকেট রক্ষক ব্যাটার ফরিদ হাসান ফয়সালের ৩৯ রানে মাঝারী মানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন দেবাশীষ গুহা, চেতন শর্মা আর হার্দিক রাজ। মূলত ভারতীয় বোলাররা তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে অনেকটা আটকেই দিয়েছিল। ভারতীয় দল পরাজিত হলেও ভারতের বোলিং ইউনিট এই ম্যাচে ছিল সফল।
অল্প রানে বাংলাদেশকে গুঁটিয়ে শিরোপা দেখছিল ভারত
বাংলাদেশকে অল্প রানে গুঁটিয়ে দিয়ে শিরোপার স্পপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ভারতীয় যুবারা। তবে দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ওপেনার আয়ুস মাহাথ্রী ১ রানে আর ভৈবব সুরিয়াভানসী ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে মিডল অর্ডারে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অ্যান্দ্রে সিদ্ধার্থের ২০, কেপি কার্থিয়ার ২১ আর মোহাম্মদ আমানের ২৬ রানের ইনিংস গুলো বড় না হওয়ায় ভারতের সম্ভাবনা ম্লান হতে থাকে।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন খেতাব ধরে রাখল বাংলার যুবারা
বাংলাদেশের হয়ে ইকবাল হোসেন ইমন ৭ ওভার বোলিং করে ৩ টি উইকেট দখল করেন। অধিনায়ক ২ ওভার ২ বল করে ৮ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট দখল করেন। তাছাড়া মারুফ মৃধা ১ টি, আল ফাহাদ ২ টি আর রেজান হোসেন ১ টি উইকেট দখল করেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানের জয় নিয়ে টানা ২য় বারের মত যুবা এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল বাংলাদেশ।