ওয়েস্ট ইন্ডিজে ধবল ধোলাই বাংলাদেশ

হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে ১-১ এ সিরিজ ড্র করতে পারলেও ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে ধবল ধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডেতে ৩২১ রান করেও ৪ উইকেটের হারের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৪৫ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান করে জয় তুলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় দাঁড় করিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ছবি: সংগৃহীত

মিডল অর্ডারে  ঘুড়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের ৭৩ আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৭ রানে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে আফিফ হোসেন মাত্র ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের। 

দায়িত্বশীল ইনিংস মাহমুদুল্লাহর

ক্যারিয়ারের শেষে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬৩ বলে ৮৪ আর জাকের আলী ৫৭ বলে ৬২ রান করে বাংলাদেশকে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহে নিয়ে যান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ গত ম্যাচেও ৬২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত হার ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

ওয়েস্ট  ইন্ডিজ বোলারদের ব্যর্থ করেছিল বাংলাদেশী ব্যাটাররা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেফ ৪৫ রান দিয়ে ২ টি উইকেট দখল করেন। তাছাড়া গুদাকেশ মোতি আর শেরফানে স্টেফার্ড ১ টি করে উইকেট দখল করেন। মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং লাইন আপের কেউই বলার মত স্পেল করতে পারেনি। ৯ রানের ব্যবধানে ২ উইকেটের পতন ঘটানো ছাড়া তেমন কোন কার্যকরী বোলিং দেখাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বড় সংগ্রহের পর বোলিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের

বাংলাদেশের দেয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনে নামা ক্যাসি কার্টে ৯৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলায় ফেরান। মিডল অর্ডারে শাই হোপ ৩ আর শেরফানে রাদারফোর্ড ৩০ রান করে আউট হলে আবার ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শেষ হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

তবে আমির জাঙ্গোর অপরাজিত ৮৩ বলে ১০৪ আর গুদাকেশ মোতির ৩১ বলে ৪৪ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়কে সহজ করে তোলে। বাংলাদেশী বোলার এবং ফিল্ডাদের ব্যর্থতায় ফিনিশিংয়ের অভাবে হাতে থাকা ম্যাচ ফসকে যায়। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ২ টি উইকেট নিলেও ৮ ওভার ৫ বল করেই ৬৯ টি রান দিয়েছেন। তাছাড়া হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ আর তাসকিন আহমেদ ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন