সাকিব-হাথুরুর পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি

bcb-cricket-134

হাথুরুসিংকে কোচ হিসেবে নির্বাচনের পর থেকেই, দলীয় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা থাকে হাথুরুসিংহের। সাকিব অধিনায়কত্ব নেয়ার পর হাথুরুসিংহের সাথে, সিদ্ধান্ত নিতে যুক্ত হন সাকিব আল হাসান। বিসিবি কতটা হাথুরু-সাকিব নির্ভর, তা বাংলাদেশ দল গঠন দেখলেই বোঝা যায়।

ব্যক্তিগত ভাবেই তামিমকে অপছন্দ হাথুরুর। হাথুরু কখনও চায়নি, তামিম বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করুক। তামিমকে ছাটাই করার জন্য, ওপেনার হিসেবে অনেককে দিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ওপেনার নির্বাচনে খেলানো হয়েছে, নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, জাকির হাসানকে। ওপেনারের দৌঁড়ে ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়ও।

তামিমকে বাদ দিতে, দলে ওপেনার হিসেবে পারফর্ম করাতে, ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাঠানো হয়েছিল ৮ জন ওপেনারকে। ওপেনার হিসেবে একজনকে বাদ দিতে, এতজনকে দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা কোন দেশের ক্রিকেটে কখনও হয়েছে কিনা, জানা নেই। আশচর্যজনক ভাবে, এতজনকে খেলানো হলেও পারফর্ম করতে পারেনি। কেউ। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপ লাইনের দুর্বলতাকে আরো হাইলাইটস করেছে।

শুধু তাই নয়, দলে অটো চয়েস ওপেনার হিসেবে আছেন, লিটন দাস। যিনি কিনা, পূরো ক্রিকেট ক্যারিয়ারেই অধারাবাহিক। বর্তমান অবস্থা এত টাই খারাপ যে, নিউজিল্যান্ড সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকলেও, রান খরায়, শেষ ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যার অর্থ বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন এক এবং দুই পজিশনে, পারফর্মার হিসেবে খেলবেন, এমন কোন ব্যাটসম্যান নেই।

এত কিছুর পরও যখন, তামিমকে সরানোর জন্য কোন বিকল্প পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মিরাজকে নিচ থেকে তুলে এনে ওপেনার হিসেবে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হল। বিশ্বকাপে, লিটন দাসের সাথে এই মেহেদী হাসান মিরাজই ওপেনার হিসেবে খেলতে পারেন। যা, শুধুমাত্র ওপেনার খরা কাঁটানোর জন্যই।

অপরদিকে, ইনজুরি কাঁটিয়ে ফেরা, তামিম নিউজিল্যান্ডের সাথে এক ম্যাচ খেলে ৪৪ রান করে, ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যা, বিসিবির মন গলাতে পারেনি। ইনজুরি ইস্যু দেখিয়ে, তামিমকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত হল, তামিমের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই। যার পিছনে সাকিব-তামিম, সাকিব-হাথুরু দ্বন্দ্বই প্রভাব ফেলল দেশের ক্রিকেটে।

সাকিব, গতকাল টি-স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে, তামিমের বিষয়ে যা বলল, তা অনেকটা তাচ্ছিল্লের সামিল। এশিয়া কাপে, পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর, তামিমকে মিসের কথা বললেও, তা শুধু হার ঢাকানোর জন্যই ছিল। তামিমের দলে না থাকা, বাংলাদেশের জন্য যে ক্ষতি, তা একবারও বলেননি সাকিব। উল্টো, তামিম দলে না থাকায়, সাকিবের শরীরে ভাষায়, আনন্দই লক্ষ্য করা গেছে। তবে, এত কিছুর পর, তামিমের চাওয়া শুধু তাকে মনে রাখা, আর বাংলাদেশের, বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম।

38 thoughts on “সাকিব-হাথুরুর পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি

  1. Excellent items from you, man. I’ve be mindful your
    stuff previous to and you are simply too excellent. I actually like
    what you’ve got here, certainly like what you’re stating and the best way by which you are saying it.

    You are making it entertaining and you still care for to stay it wise.
    I can’t wait to learn much more from you. That is actually a terrific site.

  2. An impressive share! I’ve just forwarded this onto a friend who has been conducting a little research on this.
    And he actually bought me lunch because I discovered it
    for him… lol. So allow me to reword this….

    Thanks for the meal!! But yeah, thanx for spending
    some time to talk about this issue here on your web site.

  3. Can I just say what a comfort to uncover an individual who actually knows what they’re discussing online.
    You actually understand how to bring an issue to light and make
    it important. A lot more people really need to check this out and understand this
    side of the story. I was surprised that you’re not more popular because you certainly possess the gift.

  4. I have been surfing online more than three hours today, yet I never found any interesting
    article like yours. It is pretty worth enough for me.
    Personally, if all website owners and bloggers made good content as you did,
    the internet will be a lot more useful than ever before.

  5. I have been surfing on-line more than 3 hours as of
    late, yet I by no means discovered any interesting article like yours.
    It’s lovely price enough for me. In my opinion,
    if all website owners and bloggers made good content material as you probably did, the web will probably be a lot
    more useful than ever before.

মন্তব্য করুন