বাংলাদেশের সাথে শক্তির পার্থক্য দেখিয়ে ভারতের জয়

ban-cricket-95

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের জয় পাওয়া টা বড় খবর নয়। পূর্নশক্তির ভারতের কাছে বাংলাদেশ অসহায় আত্নসমর্পন করে হারল ৭ ‍উইকেটে। আগে আগে ব্যাট করে ভারতকে দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট ছিল না। অথচ ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম ৯৩ রানের জুটি গড়ে ভাল প্লাটফর্ম দাড় করিয়ে দেয়ার পরও ইনিংস শেষে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২৫৬।

ওপেনারদের ব্যাটে অবদান নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে ওপেনার তানজিদ হাসান ৪১ বলে ৫১ এবং লিটন দাস ৮২ বলে ৬৬ রান করেন। ৯৩ রানে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তানজিদ তামিমের আউটের পর ১৩৭ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর রানটা ২৫০ ছাড়িয়ে গেছে ভায়রা ভাইদের ব্যাটিংয়ে। মুশফিকুর রহিমের ৪৬ বলে ৩৮ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩৬ বলে ৪৬ রান দলকে শুধু সম্মানজনক হারের স্কোর গড়তে সহায়তা করেছে। অথচ দুই ওপেনার ক্রিজে থাকার সময় ১৪ ওভার ৪ বলেই ৯৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এই জায়গা থেকে অনেকে ৩০০ রানের উপর স্কোর দেখলেও যাওয়া আসার মিছিলে তা আর সম্ভব হয়নি।

ভারতের হয়ে বুমরাহ, জাদেজা এবং সিরাজ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তিন জনই নিজেদের ১০ ওভার বোলিং স্পেল শেষ করে জাদেজা দিয়েছেন ৩৮, বুমরাহ ৪১ এবং সিরাজ দিয়েছেন ৬০ রান। এই ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া তার প্রথম ওভার বোলিংয়ের সময় পায়ে ব্যাথা পেয়ে মাঠের বাইরে গেছেন।

২৫৭ রানের জবাবে শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মা ৮৮ রানের পার্টনারশীপ বানিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। রোহিত শর্মা ৪০ বলে ৪৮ এবং গিল ৫৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। এর পর ম্যাচে শুধু একটাই আগ্রহের বিষয় ছিল কোহলি সেঞ্চুরী পান কিনা।

অবশেষে ৬ মেরে সেঞ্চুরীর (১০৩ রান) পাশাপাশি দলের জয়ও নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন কোহলী। ৪১ ওভার ৩ বলে ৩ ‍উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান করে জয় নিশ্চিত করে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ১০ ওভার বোলিং করে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ টি ‍উইকেট। এই জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে থাকল ভারত।

ইনজুরির কারনে এই ম্যাচে মাঠে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখানো সাকিবরা যেন ক্রিকেটটাই ভুলে গেছেন। ব্যাট বলের খেলায় দুই বিভাগেই চরম ব্যর্থ বাংলাদেশ কোন কুল কিনারাই খুঁজে পাচ্ছে না। শরীরী ভাষাতেও নেই জয়ের ক্ষুধা। শুধুমাত্র ম্যাচ শেষ হলেই যেন বেচেঁ যায় তারা।

মন্তব্য করুন