নেদারল্যান্ডের কাছেও লজ্জা জনক হার বাংলাদেশের

ban-net-cricket- 81

হারের বৃত্ত থেকে কোন ভাবেই বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। সর্বশেষ সংযোজন নেদারল্যান্ডের বিপক্ষেও ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের। আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে মামুলী সংগ্রহ ২২৯ রান করে নেদারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডের ২২৯ রানের সংগ্রহে অবদান আছে বাংলাদেশী ফিল্ডারদেরও।

টস জিতে ব্যাটে নামা নেদারল্যান্ড ৬৩ রানের মাথায় ৪ টি উইকেট হারিয়ে বসেছিল। নেদারল্যান্ডের অধিনায়ক এডওয়ার্ডের সহজ দুটি ক্যাচ লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম মিস করায় এডওয়ার্ড পরে ৮৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। এর বাহিরে বারেসি ৪১ বলে ৪১ এবং সাইব্রেন্টের ৬১ বলে ৩৫ রানের ছোট ছোট ইনিংসেও মামুলী সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ড।

বাংলাদেশের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবং মেহেদী। সাকিব আল হাসান ১ টি উইকেট পেলেও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকেন। ডিসেন্ট লাইন লেন্থ বজায় থাকায় বাংলাদেশী বোলারদের সবাই ইকোনমিক্যাল ছিল।

তবে ২২৯ রানের মামুলী সংগ্রহও যে বাংলাদেশী ব্যাটারদের সামনে পাহাড়সম রান, বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে তাই মনে হল। আনকোরা বাংলাদেশী ওপেনারদের জঘন্য ব্যাটিংয়ে ১৯ রানের মাথায় ফেরেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। লিটন দাসের সংগ্রহ ১২ বলে ৩ আর তানজিদ হাসানের ১৬ বলে ১৫ রান।

বিশ্বকাপের আগে ফর্মে থাকা শান্ত অফ ফর্মে আসতে বিশ্বকাপটাকেই যেন বেঁচে নিলেন। ১৮ বলে ৯ রান করে দলীয় ৪৫ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে দলকে বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়ে যান। আর সেই বিপর্যয়কে আরো ঘনীভূত করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সাকিব ১৪ বলে ৫ রান করে আউট হলে ৬৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে কুল কিনারা হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যে কিনারায় হারিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম (১ রান), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২০ রান), আর শেখ মেহেদীরা (১৭)। ৪২ ওভার ২ বলে ১৪২ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৩৫ রান আসে তিনে নামা মিরাজের ব্যাট থেকে।

নেদারল্যান্ডের হয়ে পল ভার ম্যাকারেন ৭ ওভার ২ বলে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ টি উইকেট। বাস ডি লিড ৭ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ টি আর আরিয়ান দত্ত, ভ্যান বিক ও একারম্যান ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন। ভাল লাইন এবং লেন্থে বল করলেও দুর্বল বাংলাদেশী ব্যাটারদেরকে প্যাভিলিয়নে ফেলতে কোন অসুবিধাই হয়নি নেদারল্যান্ডর বোলারদের।

বিশ্বকাপের আগে থেকে শুরু করে চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। দলে কার রোলটা কি হবে তারা নিজেই জানে না। বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ এখনো জানে না কার ব্যাটিং পজিশনটা কি।

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে নানা গাল গল্প শোনানো বাংলাদেশকে দেখে মনে হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসই পরিবর্তন করে ফেলবে। অথব বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয় পাওয়া বাংলাদেশের কাছে হারাটা ঠিক হয়নি মনে করেন আফগানরাও।

যে বিশ্বকাপে ৪০০ রান করেও জয় নিয়ে সন্দিহান থাকতে হয় দলগুলোকে। সেখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ভারতের বিপক্ষে ২৫৬ রান। বড় কথা বাংলাদেশ দলের খেলা দেখে কখনোই মনে হয়নি এই দলটি ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রিকেট খেলছে। শুধু বার বার মনে হচ্ছিল আমরা কি আইসিসির পূর্ন সদস্য নাকি সহযোগী কোন দেশ, যারা এখনো ক্রিকেট শিখছে।

2 thoughts on “নেদারল্যান্ডের কাছেও লজ্জা জনক হার বাংলাদেশের

মন্তব্য করুন