
বাংলাদেশকে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এই বিশ্বকাপে জয়ের সূচনা করল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ৩৬৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ দল করতে পেরেছে ২২৭ রান। টসে জিতে সাকিব আল হাসান বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটকে কাজে লাগিয়ে ইংলিশদের দুই ওপেনার মিলে আনেন ১১৫ রান।
বেয়ারস্টো সাকিবের বলে ৫২ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় ইংল্যান্ডের রান ১৭ ওভার ৫ বলে ১১৫ রান। এর পর রুট মালান মিলে ১৫৬ রানের জুটি গড়েন। মুলত বাংলাদেশের মূল সর্বনাশটা করেছে মালান। ১০৭ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসানের বলে ফেরেন মালান। রুট ৬৮ বলে ৮২ রান করে শরীফুলের বলে আউট হন।
রুট মালান উইকেটে থাকার সময় ৪০০ রান দেখছিল ইংল্যান্ড। রুট মালানের পর বাকিরা কেউ বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় ইংল্যান্ডকে থামানো গেছে ৪০০ রানের নিচে। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান ৮ ওভার বোলিং করে ৭১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে শরীফুল ইসলাম ১০ ওভার বোলিং করে ৭৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১০ ওভার কোটা পূরন করা বোলারদের মধ্যে ৭০ রানের নিছে রান দিয়েছেন শুধু সাকিব। সাকিব ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে বেয়ারস্টোকে আউট করে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন।
অন্যদিকে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ দল শুরুতেই পড়েছে বিপদে। ক্রিকস ওকসের করা প্রথম ওভারে লিটন দাস তিনটি চার মেরে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পরের ওভারে টপলি এসে তানজিদ হাসান তামিম এবং ফর্মে থাকা শান্তকে ফেরালে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তানজিদ ১ রান এবং শান্ত কোন রান না করেই ফেরেন
মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে আসা সাকিব আল হাসানও ১ রান করে টপলির বলে আউট হলে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৮ ওভার ২ বলে ২২৭ রানে সবাই ফিরেছেন। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি লিটন দাসের ৬৬ বলে ৭৬ এবং মুশফিকুর রহিমের ৬৪ বলে ৫১ রানের দুটি ইনিংস।
ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান এখনোই দলকে ভেঙ্গে না পড়ার কথা বললেন। তার মতে বড় টুর্নামেন্ট সামনে অনেক ম্যাচ আছে ঘুরে দাড়ানোর। সাকিব ৩৫০ রানের উপর তাড়ায় দশ ওভারের মধ্যে ৪ টি উইকেট হারিয়ে ফেলাকে দুষছেন। তার মতে ইংল্যান্ডকে ৩২০ থেকে ৩৩০ রানের মধ্যে আটকানো গেলে ভাল হত। আগামী ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ দল তাদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড-৩৬৪/৯
মালান-১৪০ (১০৭), রুট-৮২ (৬৮)
মেহেদী হাসান-৮-৭১-৪
বাংলাদেশ-২২৭/১০
লিটন দাস-৭৬ (৬৬)
রিসি টপলি-১০-৭৩-৪