আত্নবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা নিউজিল্যান্ডের সামনে বাংলাদেশ

nz-cricket-109

আগামীকাল আত্নবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা নিউজিল্যানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে কিউরা। অপরদিকে আফগানদের সাথে জিতলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে টাইগাররা। সেই ইংল্যান্ডকে আবার ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ড।

দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে আগামীকালের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছে নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন ফেরায় নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং অর্ডারের শক্তি আরো বেড়ে গেল। সর্বশেষ আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই হাটুর ইনজুরিতে বিশ্বকাপ খেলা শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিলেন। তবে নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা এবং বিশ্বাসে অবশেষ তিনি ফিরতে পারছেন।

অপরদিকে আগামীকালের ম্যাচের আগেও শঙ্কা বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। বিগত বেশ কিছু ইনিংসে ৫০ ওভার ব্যাট করাটা বাংলাদেশ দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়েছে। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার সমানভাবে ব্যর্থ হওয়ায় বড় স্কোর গড়তে পারছে না বাংলাদেশ।

ওপেনিংয়ে থাকা লিটন দাস গত ম্যাচে রান পেলেও সর্বশেষ ১১ ইনিংসে তার ফিফটি ২ টি। ২০ এর নিচে রান করেছেন ৬ ইনিংসে। অপরদিকে তানজিদ হাসান তামিম অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত ভাল ইনিংস খেলতে পারেননি।

ভারত বিশ্বকাপ যেখানে হাই স্কোরিং পিস হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ডিসপ্লে হতাশাজনক। পাশাপাশি ব্যাটিং অর্ডারে কে কোন পজিশনে খেলবে তা কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। মিরাজকে দিয়ে একেক ম্যাচে একেক পজিশনে খেলোনো হচ্ছে। ওপেনার হিসেবে পরিচিত নাজমুল হোসেন শান্তকে কখনো তিনে কখনো চারে খেলানো হচ্ছে।

মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমান করা ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়কে দিয়ে ৭ নম্বর পজিশনেও ব্যাট করানো হচ্ছে। প্রতিপক্ষ দলগুলোতে যখন ব্যাটিং অর্ডার আগে থেকে গোছানো সেখানে বাংলাদেশ দল নিজেও জানে না ব্যাটিংয়ে কার ভুমিকা কি হতে যাচ্ছে।

তবে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আগামীকালের ম্যাচে বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে মানছেন। আগামীকাল তাদের জন্য স্পিন পরীক্ষার কথাও জানালেন তিনি। কালকের ম্যাচটি এম. এ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলায় স্পিন বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করেন উইলিয়ামসন। এই মাঠে হওয়া অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচে স্পিনারা ৬ টি উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে গুটিয়ে দিতে অবদান রেখেছে।

তার মতে বাংলাদেশর স্পিন মোকাবেলার পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্পিন দিয়ে ঘায়েল করার মত অস্ত্র আছে তাদের কাছে। ইশ সোধি, মিশেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্রর মত শক্তিশালী স্পিন লাইন আপ আছে তাদের হাতে। বাংলাদেশ সফরে ইশ সোধি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে এক ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

ব্যাটিং বোলিংয়ে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডকে আটকানোর মত সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের। এর জন্য ব্যাটিং এ পারফর্ম করতে হবে সবাইকে আর বোলিংয়ে নতুন বলকে কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডকে হারানো কঠিন তবে অসম্ভব না বাংলাদেশের জন্য।

 

41 thoughts on “আত্নবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা নিউজিল্যান্ডের সামনে বাংলাদেশ

  1. You really make it appear so easy along with your presentation however I to find this topic to be
    actually one thing which I feel I’d never understand.
    It sort of feels too complex and extremely wide for me.

    I am taking a look forward in your subsequent submit, I will
    attempt to get the cling of it!

মন্তব্য করুন