ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

স্বাগতিক ভারতের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ অর্জন করল বাংলাদেশ। যার মধ্যে সব শেষ ম্যাচে হার ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে। বাংলাদেশ ভারতের এমন একটি দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হল, যে দলটির প্রায় অর্ধেকরও বেশি খেলোয়াড় জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ না। তার চেয়ে বড় কথা বাংলাদেশ দল যেভাবে হেরেছে তা বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের জন্য খুবই হতাশার।

ছবি: সংগ্রহীত

নতুনরাও ভারতকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত বাংলাদেশের সামনে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৯৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল। মূলত প্রথম ইনিংস শেষেই বাংলাদেশের হার অনেকটা লেখা হয়ে গিয়েছিল। কালক্ষেপন ছিল শুধু ম্যাচ শেষের অপেক্ষা। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রান করেছে যেটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল কিছুই বটে। কারন এই সিরিজে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।

বাংলাদেশকে হারাতে অনিয়মিত দলই যথেষ্ঠ ভারতের

জাতীয় দলের অনিয়মিত ব্যাটার সানজু স্যামসাং মাত্র ৪৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ম্যাচে। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও কম যাননি ৭৫ রান করতে মাত্র ৩৫ টি বল মোকাবেলা করেছেন। হার্দিক পান্ডিয়াতো সরস এক ধাপ উপরে ৪৭ রান করেছেন মাত্র ১৮ বলে। সূযকুমার যাদব ম্যাচ শেষে ব্যক্তিগত ইনিংসের চেয়ে দলীয় ইনিংসকে বড় করার চিন্তায় এমন ইনিংসের কথা বলেছেন।

হার মেনে নিয়েই মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে

অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে কোন রকম সিরিজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচা যায় অবস্থা। যে পিচে বিপক্ষ দল বসে শুয়ে শর্ট খেলছে সেখানে বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয় ক্রিকেটেই তারা নতুন দল। নেই কোন ক্লাসিক শর্ট আর মাসল পাওয়ার। অনেকটা হারার আগেই হার মেনে ব্যাটিং করার অবস্থা। 

নেতৃত্ব দেয়ার সামর্থবান নেতাই নেই বাংলাদেশের


দিনের পর দিন ব্যর্থ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তই বর্তমান বাংলাদেশের নাকি সেরা ব্যাটার। এরকম একটি ম্যাচেও ১১ বল খেলে মাত্র ১৪ টি রান নিতে পেরেছেন। লিটন দাস ২৫ বলে ৪২ রান করে হয়তো দলে নিয়মিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন। কারন বাংলাদেশের পাইপ লাইনে এই রান করার সামর্থবান ব্যাটারই নেই। তাই লিটন দাসের মত অধারবাহিক খেলোয়াড়দের দিনের পর দিন শুধুমাত্র ক্যাপাবল বলে চালিয়ে দেয়া যাচ্ছে।

সিনিয়রদের ব্যর্থতায় হাঁসফাস অবস্থা জুনিয়রদেরও


সবার থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম তাওহীদ হৃদয়ও অনেকটা সঙ্গ দোষে শেষ হয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিত ব্যাটে আসতে হচ্ছে দলীয় ব্যাটিং বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্য। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি, তবে ৪২ বলে ৬৩ রান করে দলের হারের ব্যবধান ১৫০ রানের নিচে নামাতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন।

চোঁখের সামনে হতাশার প্রতিচ্ছবি

ক্রিকেট যে রকম বিশ্বব্যাপী এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছর আগেওে বাংলাদেশকে বড় স্বপ্ন দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে এখন একটি সম্ভাবনাময় দলের পতন দেখছে অনেকে। অনেক পরে ক্রিকেট শুরু করা আফগান দলের কাছেও বাংলাদেশ একটি ডাল ভাত দল। পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে দলটি। নেপালের মত দলও বাংলাদেশের জন্য হুমকির কারন হচ্ছে আস্তে আস্তে। ক্রিকেটীয় বড় কোন পরিবর্তন দ্রুত চোঁখে না পড়লে বাংলাদেশ সমর্থকদের কাছে আগ্রহ হারাবে ক্রিকেটও, যা কিনা চলমান।

4 thoughts on “ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

মন্তব্য করুন