
আগামী ১৯ অক্টোবর পুনেতে বাংলাদেশ দল মুখোমুখি হবে ভারতের। তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে পয়েন্ট টেবিলে ভারতের অবস্থান সবার উপরে। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের দুটি হারের বিপরীতে জয় একটি সেটিও আফগানিস্তানের সাথে।
মনস্তাস্তিক বিবেচনায় ভারত বেশ ফুরফুরে অবস্থায় থাকলেও বাংলাদেশ দলের অবস্থা ছন্নছাড়া। ব্যাটিং বোলিং সহ সব বিভাগেই পারফর্ম করতে ব্যর্থ সাকিবরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দুরের কথা ইনিংস শুরুর কয়েক ওভারের মধ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। না পারছে পাওয়ার প্লেতে রান করতে না পারছে বোলিংয়ে উইকেট নিতে।
মাঠ এবং মাঠের বাইরের নানা ইস্যু নিয়ে ১৭ বছর ধরে খেলা তামিম ইকবালের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি নির্বাচকরা। ফলাফল হিসেবে তামিম ইকবালকে দল থেকে ছেটে ফেলা হয়। তামিম ইকবালের প্রতি আস্থা রাখতে না পারলেও টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিল এশিয়া কাপ দিয়ে দলে আসা তানজিদ হাসান এবং ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পুরোটাতেই অধারাবাহিক লিটন দাসের উপর।
তামিমকে ছেঁটে ফেলে লিটন দাস এবং তানজিদকে দিয়ে বাজিমাত করার যে প্রয়াস নিয়েছিল সাকিব হাথুরু তা পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছে। এশিয়া কাপ দিয়ে অভিষেক ঘটানো তানজিদ হাসান ব্যর্থ ছিলেন এশিয়া কাপ এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। তারপরও ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে আসতে কোন সমস্যা হয়নি তার।
অন্য দলগুলো যেখানে বিশ্বকাপকে ঘিরে অনেক আগে থেকেই স্কোয়াড সেট আপ করে রেখেছিল। সেখানে বাংলাদেশ দল মেতেছিল তামিম মাহমুদুল্লাহর বিকল্প খুঁজতে। তামিমকে বসাতে ওপেনিং এ আনা হয়েছিল নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, জাকির হাসান সহ আরো অনেককে। সবাই ব্যর্থ হওয়ার পরও টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো ভেবেই রেখেছিল সরাতেই হবে তামিম ইকবালকে।
ওপেনার হিসেবে সবাই যখন ব্যর্থ তখন মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়েও পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেই পরীক্ষায় মিরাজ অনেকটা সফল হলেও ধরে রাখতে পারেনি ওপেনিং পজিশন। ওপেনিং থেকে শুরু করে সাত নম্বর পজিশন কোন পজিশনে নেই মিরাজ।
তামিম ইকবালের চেয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে কিছুটা লাকি বলতে হবে। তামিমের মত মাহমুদুল্লাহকে সরাতে সুযোগ দেয়া হয়েছিল আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারী ও সৌম্য সরকারকে। ওপেনারদের মতো তাড়াও ব্যর্থ হওয়ায় তামিম ইকবাল বাদ গেলেও সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
সিনিয়র খেলোয়াড়েরা থাকতেও কেন এত পরীক্ষা নিরীক্ষা, তা আবার বিশ্বকাপের ঠিক আগ মূহুর্তে ছিল তার জবাব নেই। জবাব একটাই সকলের সাথে বসে এই সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপ চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা এখনও থেমে নেই। কে কোন পজিশনে খেলবেন হয়তো জানেন না ব্যাটিংয়ে না নামা পর্যন্ত।
ব্যর্থ বাংলাদেশ দল ব্যর্থ বাংলাদেশের ক্রিকেট। তারপরও আশায় বুক বাঁধেন সমর্থকেরা। হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। পাগল সমর্থকেরা হয়তো বাস্তবতাটাই জানেনা। তারা হয়তো জানেনা বাংলাদেশ দলের হারের কারন শুধু পারফর্ম করতে না পারা নয়, রয়েছে সামর্থ্যের অভাব। যেখানে সামর্থ্যেই নেই সেখানে জয়ের আশা করাটা বোকামি। তারপরও কোন অঘটন ঘটিয়ে যদি জিতে যায় বাংলাদেশ আমরা তা চালিয়ে দেই যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে বাংলাদেশ।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?
I don’t think the title of your article matches the content lol. Just kidding, mainly because I had some doubts after reading the article. https://www.binance.com/sl/register?ref=OMM3XK51