
বিশ্বকাপে ফেভারিট ভারত। সেটা কি একক ফেভারিট। হয়তো বা না, তবে মূল দাবিদার তারাই। বিশ্বকাপে টপ ফেভারিট ভারত, তার প্রধান কারন সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পারফরম্যান্স। পাশাপাশি, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায়, কন্ডিশন বিবেচনায়ও এগিয়ে তারা।
এশিয়া কাপে ট্রফি জয়ের পর, অস্ট্রেলিয়ার সাথে সহজ সিরিজ জয়। তিন ম্যাচ সিরিজ, এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে ভারত। প্রথম ওডিআইতে ৫ উইকেটের জয়ের পর, ২য় ম্যাচে ৯৯ রানের জয়। তার চেয়ে বড় কথা, আগে ব্যাট করে ৩৯৯ রানের ইনিংস খেলেছেন।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বিশ্রামে রাখা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড় বিরাট কোহলি এবং রহিত শর্মাকে। তবে যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ার মত দলের সাথে সিরিজ, সেখানে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত সহজ সিদ্ধান্ত নয়। শঙ্কা থাকে হিতের বিপরীত হওয়ার, যা হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পড়তে হম সমোলোচনায়।
তারপরও, জুনিয়র দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মত টিমকে যেভাবে নাকানি চুবানি খাওয়ালো, তাতে বিশ্বকাপ ফেভারিট ভারত, এই তকমা তারা পেতেই পারে। দলে থাকা প্রত্যেকটি খেলোয়াড় ভাল ফর্মে আছেন। বিশ্বকাপে ওপেন করতে চলা, শুভমন গিল আছেন দারুন ছন্দে। সর্বশেষ, অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচেও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। দলে থাকা, কেএল রাহুল ও রান করার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।
দলে থাকা সিনিয়র এবং জুনিয়র খেলোয়াড়দের কম্বিনেশনে গড়া, ভারত দল হিসেবে হয়েছে অনবদ্য। মিডল অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়ার পাশাপাশি, সূর্যকুমার যাদবের মত দানবীয় ব্যাটসম্যান আছে। যিনি কিনা, সর্বশেষ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার সাথে ৩৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। দীর্ঘ দিন ইনজুরিতে থেকে ফিরলেও, জাসপ্রিত বুমরাহ ফিরে এসেছেন স্বরুপে। জাসপ্রিত বুমরাহর সাথে মোহাম্মদ সিরাজ, বোলিংয়ে করছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। চেনা কন্ডিশনে কুলদীপ যাদব হতে পারেন ভয়ংকর। রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাটিংয়ে ফিনিশারের পাশাপাশি, বোলিংয়ে দেখাতে পারেন ঝলক।
সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ব্যালেন্স টিম সম্ভবত ভারতই। চেনা কন্ডিশন, ব্যাটিং, বোলিংয়ে দুর্দান্ত ফর্ম, সব দলের চিন্তার বিষয় ভারত। সম্ভাব্য বিশ্বকাপ জয়ীর সব সমীকরনে এগিয়ে আছে ভারত। তবে, শক্তিমত্তায় বাকি দলগুলোও ব্যালেন্স থাকায়, ভারতের জন্য বিশ্বকাপ জয় খুব সহজ হবে না। করতে হবে, শক্তির সঠিব ব্যবহার। তবেই হয়তো হাতে উঠবে বিশ্বকাপ ট্রফি। তবে, ট্রফি যেই জিতুক না কেন, জয় যেন ক্রিকেটেরই হয় সেটাই প্রত্যাশা। যেটা হলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য হবে মঙ্গলের।
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you.