
ভারতের স্বপ্ন ভঙ্গ করে বিশ্বকাপ জয়ে প্রশংসায় ভাসছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের বড় সুযোগ থাকলেও এক ম্যাচের ভুলেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। অপরদিকে, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশংসায় ভাসছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সরা এই জয়কে তাদের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা জয় মনে করছে। সাবেকে থেকে বর্তমান সবাই অস্ট্রেলীয়দের প্রফেশানলিজমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ভারতকে সমর্থন দিতে ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থক হাজির হয়েছিলেন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। এমনকি যার নামে এই স্টেডিয়াম সেই মোদী নিজেও উপস্থিত ছিলেন মাঠে। মাঠে ছিলেন মুকেশ আম্বানী, শাহরুখ খানরা। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক আগেই হুংকার দিয়ে রেখেছিলেন ভারতের পক্ষে গলা ফাঁটানো সমর্থকদের থামিয়ে দিতে। কথামত প্রায় পুরো ক্রিকেট স্টেডিয়ামই ভারতের হারে থমকে গিয়েছিল।
অজি সাবেক লিজেন্ড ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এই জয়কে তাদের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা জয় বলে অ্যাখায়িত করেছেন। পাশাপাশি এই জয়ে তিনি প্যাট কামিন্সদের জন্য গর্ববোধ করেন। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের প্রধান নিক হকলি এই জয়কে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে সেরা জয় বলে মনে করেন। অদম্য ভারতকে এত দর্শকদের সামনে হারানোর কারনে অন্য বিশ্বকাপ থেকে এই বিশ্বকাপকে তিনি এগেয়ে রেখেছেন।
আরেক অস্ট্রেলীয় শেন ওয়াটসন মনে করেন সব কিছুই প্যাট কামিন্সদের বিপক্ষে ছিল। সব কিছু সামলিয়ে ভারতের মাটিতে জয় অসাধারন বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, ফাইনালে প্যাট কামিন্স যত সিদ্ধান্ত নেয়েছিল সব কয়টি সঠিক ছিল। হাই স্কোরিং বিশ্বকাপে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে অনেকে আশ্চর্য হলেও কামিন্স তার যথার্থতা প্রমাণ করেন বলে মনে করেন ওয়াটসন।
আরেক অস্ট্রেলীয় রিকি পন্টিং প্যাট কামিন্সের অধিনায়ত্বকে নিঁখৃুত বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, তাছাড়া কামিন্সের নেতৃত্ব সময়ের সাথে সাথে পরিনত হয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ে প্রাইজ মানি হিসেবে ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার পাচ্ছে অস্ট্রেলীয়া। যা বাংলাদেশী মৃদ্র্রায় ৪৪ কোটি টাকার ও বেশি।
ভারতের এই হারের পরও পূরো ভারতবাসিকে পাশে পাচ্ছে রোহিত শর্মা। ফাইনালের হারটিকে ভারতের একটি খারাপ দিন হিসেবেই অনেকে মনে করছেন। কপিল দেব মনে করেন, ২য় হয়েও রোহিত শর্মারা মাথা উঁচু করে রাখতে পারে। পাশাপাশি টানা জয়ের পর এই রকম হোঁচটকে একপেশে রেখে এগেয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি।