
আবুধাবী টি-টেন ক্রিকেট লীগে খেলা কালীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে আবুধাবী লীগে পুনে ডেভিলসের হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নাসির হোসেন। ৬ ম্যাচ খেলে ২৭ রান করেছিলেন, পাশাপাশি বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে, ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় আসতে না পারলেও আইসিসির ৩ টি নিয়ম ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে নাসিরের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে, ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে তদন্তে নেমেছে আইসিসি।
নাসিরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আইসিসির ২.৪.৩ ধারা অনুযায়ী ৭৫০ ডলারের অর্থমুল্যে পুরস্কার হিসেবে নিয়েছিলেন নাসির হোসেন। ঠিক কি কারনে নাসির হোসেনকে এই অর্থমুল্যে দেয়া হয়েছিল, তা তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিস্কার করতে পারেননি নাসির হোসেন। তাছাড়া, প্রাপ্ত পুরস্কারের কোন ভাউচারের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কিছু জানাতে পারেনি নাসির হোসেন। এছাড়াও ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, তিনি কোন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অফার পেয়েছিলেন কিনা, অথবা তাঁকে কোন ভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। নাসিরের বিরুদ্ধে শেষ অভিযোগ, আইসিসির ২.৪.৬ ধারা অনুযায়ী কোন রকম কারন ছাড়াই, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে কোন সহযোগিতা নাসির হোসেন করেননি।
এই ঘটনার সাথে নাসিরের সাথে নাম এসেছে আরও ৭ জনের। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নাসির হোসেন একমাত্র ব্যক্তি, যার নামে এই অভিযোগে এসেছে। বাকি সদস্যরা, বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির অংশিদার, কোচ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটার। এর আগেও মাঠের বাইরের নানা ইস্যুতে আলোচিত ছিলেন নাসির হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ না মেলায়, ক্রিকেট ক্যারিয়ার ভালভাবে গড়তে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন নাসির হোসেন। সর্বশেষ আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র মাস্টার টি-টেন লীগেও খেলেছিলেন নাসির হোসেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসির পক্ষ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে, ক্রিকেটেই নিষিদ্ধ হতে পারেন নাসির। যা ৩১ বৎসর বয়সী নাসিরের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। নাসির বাংলাদেশের হয়ে ১৯ টেস্ট ৬৫ ওডিআই এবং ৩১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!