আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পরিত্যাক্ত

বৃষ্টির কারনে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া পরিত্যাক্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল ভারত। কাগজে কলমে সেই আসা কিছুটা টিকে থাকলেও তা অনেকটা ম্লান হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি কমপক্ষে ২০৭ রানের ব্যবধানে অথবা পরে ব্যাট করলে ১১.১ ওভারে জিতবে পারে,তবেই সেমিফাইনাল খেলতে পারবে আফগানিস্তান।

ছবি:সংগৃহীত

তাই, কালকের ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে অলৌকিক কিছু না ঘটলে বি গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ড আর আফগানিস্তানের বিদায় ধরে নেয়া যায়। ম্যাচ পরিত্যাক্ত হলেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অন্যদিকে এ গ্রুপ থেকে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বিদায় অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। 

আজকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৭৪ রানের মাঝারী লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানিস্তান। ওপেনার গুরবাজ শুন্য হাতে ফেরার সাথে সাথে আগের ম্যাচের হিরো ইব্রাহিম জাদরানও মাত্র ২২ রানে ফিরে যান। তবে তিনে  নেমে সাদিকুল্লাহ আতাল ৮৫ রানের এক গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ খেলেছেন। মিডল অর্ডারে রহমত ১২ আর অধিনায়ক শাহিদী ২০ রানে ফিরলে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। 

তবে, সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ৬৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যান। সাথে রশিদ খানের ১৭ বলে ১৯ রানের ইনিংস আফগানিস্তানকে ২৭৩ রানে পৌঁছাতে সহায়তা করে। মোহাম্মদ নবী ১ আর গুলবাদিন ৪ রানে না ফিরলে আফগানদের ইনিংস আরও বড় হতে পারত।

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি থেকে অস্ট্রেলিয়ার মূল পেস এটাক নাম প্রত্যাহার করে  নেয়ায় বোলিং লাইন আপ কিছুটা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। প্যাট-কামিন্স, মিশেল স্টার্ক, হ্যাজেলউডরা খেলছেন না এই টুর্নামেন্টে। তবে দায়িত্বে থাকা ডাওয়ারসুইচ এই ম্যাচে ৩ টি আর স্পেন্সার জনসন এই ম্যাচে ২ টি উইকেট দখল করেছেন। স্পিনার এডাম জাম্পাও ৪৮ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নিয়েছেন। সাথে নাথান ইলিশ আর ম্যাক্সওয়েলের ভান্ডারেও একটি করে উইকেট রয়েছে।

অন্যদিকে, ২৭৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভার ৫ বলেই ১ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শর্ট ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হলেও, ট্রাভিস হেড ৪০ বলে ৫৯ আর স্টিফেন স্মিথ ২২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরে বৃষ্টির কারনে খেলা না হওয়ায় আম্পায়াররা ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। ফলে, আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল।

তবে, আফগানিস্তান যদি শেষ পর্যন্ত সেমিতে খেলতে নাও পারে, তবুও তারা যে সামর্থ্য দেখিয়েছে তাতে প্রশংসার দাবি রাখে। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিঁটকে দিয়েছে। বড় দলগুলোকে হারানো আফগানিস্তানের কাছে এখন অনেকটা সহজ কাজের একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানের এই দলটি এখন বিশ্বের যেকোন দলকে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। ক্রিকেটীয় সুযোগ সুবিধার ঘাটতি থাকার পড়্রে আফগানিস্তান যে ক্রিকেটীয় প্যাশন দেখিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

মন্তব্য করুন