শ্রীলঙ্কাকের ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে শূভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ২ উইকেট হাতে রেখে কোন রকম অতিক্রম করে এই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে নানা আলোচনা সমোলোচনা হলেও এই জয়ের ফলে দলের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে। পাশাপাশি এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের শেষ আট খেলার সম্ভবনার দ্বার অনেকটা উজ্জ্বল হল। যদিও গ্রুপ পর্বে এখনো ৩ টি ম্যাচ বাকি রয়েছে।

টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, শুরুতে কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভাল সূচনা করেছিল লংকানরা। ওপেনিংয়ে কুশাল মেন্ডিস ৮ বলে ১০ রান করে আউট হলেও আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা মাত্র ২৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। তবে তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেনি কামিন্দু মেন্ডিস, ৫ বলের মোকাবেলায় মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি।
মিডল অর্ডারে এসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা রানের গতিকে বাড়িয়ে নিতে পারেনি। উল্টো তার ২৬ বলে ২১ রানের ইনিংসে দল অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। একই অবস্থা আসালাঙ্কারও, ২১ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ১৯ টি রান। অধিনায়ক হাসারাঙা রিসায়াদ হোসেনের বলে গোল্ডেন ডাক মারার পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসও ১৯ বল খেলে ১৬ রান করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ হন। ফলে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৪ রানে থেমে যায়।
মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই পিছিয়ে যায়। সৌম্য সরকার কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন। সাথে নামা আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও ৬ বল খেলে ৩ রান করে আউট হলে ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তবে লিটন কুমার দাস ভাল স্ট্রাইক রেট না পেলেও ৩৮ বলে ৩৬ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন। তবে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত এই ম্যাচেও হতাশ করেছেন। আউট হওয়ার আগে ৭ রান করতে ১৩ টি বল খেলেন তিনি।
তবে, বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের পথ থেকে টেনে তোলেন তৌহিদ হৃদয়। ফর্মে থাকা এই ব্যাটার মাত্র ২০ বল খেলে ৪০ টি গুরুত্বপূর্ন রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন। তবে বাংলাদেশের ভরসার জায়গা সাকিব আল হাসান হতাশ করেছেন সমর্থকদের। ৮ রান করতে ১৪ বল খেললেও আপত্তি ছিল না কারও। তবে তার মত একজন খেলোয়াড় ম্যাচের গুরুত্বপূর্ন সময়ে এরকম একটি বাজে শর্ট খেলে আউট হতে পারে তা মেনে নিতে পারেনি অনেকে।
তবে ব্যতিক্রম ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৩ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। জয়ের পরও অবশ্য সমোলোচিত হচ্ছে বাংলাদেশ দল। যে মাচটিতে সহজ জয় পাওয়ার কথা তা এরকম কঠিন করে ফেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং নিয়ে দু:শ্চিন্তার পাশাপাশি সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়েও দু:শ্চিন্তা থাকছে। তাছাড়াও টপ অর্ডারদের নিয়মিত দলকে ভোগাচ্ছে যা চিন্তার ভাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এতকিছুর পরও এই মূহুর্তে বাংলাদেশের পাশে জয়ের চিহ্ন।
Your blog is a true hidden gem on the internet. Your thoughtful analysis and in-depth commentary set you apart from the crowd. Keep up the excellent work!
Business dicker I am truly thankful to the owner of this web site who has shared this fantastic piece of writing at at this place.