
ভারতের বিপক্ষে ৬ রানের সান্ত্বনামূলক জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৫৯ রানের ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে সাকিবের ৮৫ বলে ৮০ রান এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৮১ বলে ৫৪ রানের উপর ভর করে। শুরুর বিপদ সামলে উঠলে ১৬০ রানে সাকিব এবং ১৬১ রানের মাথায় শামীম ফিরলে ১৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষের দিকে নাসুমের ৪৫ বলে ৪৪, মেহেদী হাসানের ২৩ বলে ২৯ এবং তানজীম সাকিবের ৮ বলে ১৪ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬৫/৮
জবাবে, ভারতের শুরুটাও ভাল হয়নি। অভিষিক্ত তানজিম সাকিব রোহিত শর্মা এবং তিলক ভর্মাকে দ্রুত তুলে নিলে ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। শুভমন গিল একপ্রান্ত আগলে রেখে জয়ের কাছাকাছি দলকে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আউট হওয়ার আগে গিল ১৩৩ বলে ১২১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শেষ দিতে অক্সার প্যাটেল ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের খুব কাছাকাছি নিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ভারতকে। এই হারেও এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে বাঁধা নেই ভারতের। আগামী রবিবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।
অন্যদিকে, ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে পারল বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরুর আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশ, এদিন ৫ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। বেঞ্চে থাকা সবাইকে সুযোগ দিতেই বাংলাদেশের এই টিম স্ট্রাটেজি। অন্যদিকে, ভারতও বিরাট কোহলি. শ্রেয়াস আয়ার. জাসপ্রিত বুমরাহদের বসিয়ে রেখেই একাদশ সাজিয়েছে। আজকের ম্যাচটির আগেই ফাইনাল দল নিশ্চিত হওয়ায়, দুই দলই আসন্ন বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে তাদের সাইড বেঞ্চকে বাঁজিয়ে দেখতে চেয়েছিল। তবে যাই হোক, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে জয় বাংলাদেশের।
পূরো আসরে খারাপ খেলা বাংলাদেশের জন্য এই জয়টি খুবই প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে, এশিয়া কাপে হতাশা জনক পারফরম্যান্সের জন্য চারিদিকে নানা ভাবে সমোলোচিত বাংলাদেশের জন্য মনোবল ফিরিয়ে পাওয়ার ম্যাচ ছিল এটি। পূরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল হতাশা জনক। বিশেষ করে, টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। যা, আজকে জয়ের দিনেও ব্যতিক্রম ছিল না।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিজেদের দুর্বলতম জায়গা গুলো ভাল ভাবে দেখতে পারছে। নানা আলোচনা-সমোলোচনা ছিল বাংলাদেশের এশিয়া কাপের দল ঘোষণা নিয়ে। তবে, যেসব জায়গা নিয়ে সমোলোচনা বেশি হয়েছে, সেই সব জায়গায় সুযোগ পাওয়া কেউই পারফর্ম করতে পারেনি। টপ অর্ডারে ব্যর্থতায় নাম আছে নাঈম, জুনিয়র তামিম, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়দের। তাছাড়া, আলো ছড়াতে পারেনি, ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে আলোচনায় আসা শামীম পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদীরাও। ফলে, আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষে এখনো বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আছে, দলকে আরো ভালভাবে গোঁছানোর।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.