
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে গত ম্যাচে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল আফগানিস্তান। এবার আর পারল না নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হল ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচে একবারের জন্য হলেও ম্যাচে দারুনভাবে ছিল আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ড ১০৯ রানে ১ উইকেট থেকে ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল। ১ রানের মাথায় ৩ উইকেট নিয়ে দারুন কিছুর সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।
আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রানের বড় সংগ্রহ তোলে নিউজিল্যান্ড। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর কিউইদের ম্যাচে ফেরান টম লাথাম এবং গ্লেন ফিলিপ জুটি। টম লাথাম করেন ৭৪ বলে ৬৮ আর ফিলিপের সংগ্রহ ৮০ বলে ৭১ রান।
আফগানদের ক্যাচ মিস এবং বাজে ফিল্ডিং এর সুযোগ নিয়ে নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গিয়ে থামে ২৮৮ রানে। আফগানদের হয়ে নাভিন উল হক ৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। আজমতউল্লাহ ৭ ওভার বল করে ২ উইকেট নেন ৫৬ রান খরচায়।
জবাবে ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও দলীয় ২৭ রানেই ফেরেন গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। ২৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আর ম্যাচেই ফিরতে পারেনি আফগানরা। নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে ৩৪ ওভার ৪ বলে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। আফগানদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন রহমত শাহ। ফলে ১৪৯ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আফগানিস্তানকে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে লুকি ফার্গসন ৭ ওভার বোলিং করে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আর মিশেচ স্যান্টনারও ৩ টি উইকেট নেন ৩৯ রান খরচায়। আফগানদের এমন হারের অন্যতম কারন রশিদ মুজিবরা বোলিংয়ে কার্যকরী না হওয়া এবং ওপেনার গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানের ব্যর্থতা। রশিদ খান ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট আর মুজিব ১০ ওভারে ১ টি উইকেট পেতে খরচ করেছেন ৫৭ রান।
এই জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট টেবিলে ভারতকে সরিয়ে এক নম্বরে চলে আসল নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে ৪ টিতেই জয় পেল নিউজিল্যান্ড। যা তাদের সেমিফাইনাল যাওয়ার রাস্তাটা অনেকটা মসৃন করল। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিষ্টদের তালিকায় খুব একটা নাম না আসলেও বর্তমান পারফরম্যান্স তাদেরকে বিশ্বকাপ জয়েরও স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.