
আফগানদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পর হারের স্বাদ পেল পাকিস্তানও। সেমিফাইনালের পথ সহজ করতে আজকের ম্যাচে জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ন ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু উল্টো আফগানদের কাছে ৮ উইকেটে হেরে শেষ চারের পথ কঠিন করে ফেলল পাকিস্তান। আজকের জয়ের ফলে সেমিফাইনালের সম্ভাব্য তালিকায় আফগানদের নামও চলে আসল। ৫ ম্যাচ শেষে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান দুদলেরই পরাজয় তিনটি আর জয় দুইটি করে।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাবর আজম। ব্যাটে মোটামুটি সবাই রান পেলেও রানরেটটা কন্ডিশন অনুযায়ী যথেষ্ট না হওয়ায় ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানে থামতে হয় পাকিস্তানকে। শফিক ও ইমাম উল হক ওপেনিং পার্টনারশীপে ৫৬ রান তুলে ভালই শুরু করেছিল। আসাদ শফিক ৭৫ বলে ৫৮ আর ইমাম উল হক ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হন।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মোহাম্মদ রেজওয়ানও ৮ রান করে দ্রুত ফিরলে বাবর আজম সাউদ শাকিলকে নিয়ে এগুতে থাকেন। পরে বাবর আজম ৯২ বল খেলে ৭৪ রান আর সাউথ শাকিল ৩৪ বলে ২৫ রান করে ফেরেন। শেষের দিকে সাদাব খানের ৩৮ বলে ৪০ আর ইফতেখারের ২৭ বলে ৪০ রানের দুটো ১০০ পেরোনা স্ট্রাইক রেটের উপর ভর করে ২৮২ রানে পৌঁছে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের হয়ে মুজিবুর রহমান এবং রশিদ খান উইকেট শূন্যে থাকলেও নুর আহমেদ ১০ ওভার বোলিং করে ৪৯ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট দখল করেন। নাভীন উল হক ৭ ওভার বোলিং করে ৫২ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান উইকেট শুন্যে থাকলেও যথেষ্ঠ ইকোনোমিক্যাল থেক ১০ ওভার বোলিং করে ৪১ রান দিয়েছেন।
২৮৩ রানের লক্ষ্যটাকে মামুলী বানিয়ে ফেলেন আফগান দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ১৩০ রান। গুরবাজ ৫৩ বলে ৬৫ আর ইব্রাহিম জাদরান ১১৩ বলে ৮৭ রান করে আউট হলেও জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সেরে আসেন রহমত শাহ এবং হাসমতউল্লাহ শাহীদী। রহমত শাহর ৮৪ বলে ৭৭ আর শাহীদী ৪৫ বলে ৪৮ রান করলে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে আফগানরা।
পাকিস্তানের হয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদী এবং হাসান আলী ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন। এই জয়ের পর আফগানিস্তান পয়েন্ট টেবিলে ১০ নম্বর অবস্থান থেকে ৬ নম্বরে উঠে আসল। আর বাংলাদেশ ৬ নম্বর অবস্থান থেকে ৭ নম্বরে নেমে গেল। পাকিস্তান পরাজিত হলেও পয়েন্ট টেবিলে আগের জায়গা ৫ নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছে। আগামীকালের খেলায় বাংলাদেশ দল সাউথ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে।