অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

sa-aus-151

৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচ হেরে সিরিজ ২-০ তে পিছিয়ে পড়েছিল আফ্রিকা। সেখান থেকে সিরিজ ৩-২ এ জেতা সহজ ছিল না আফ্রিকার। সেই দু:সাধ্য কাজটি করে দেখিয়েছে আফ্রিকা। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তোলে আফ্রিকা। ১০৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফ্রিকা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ করতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ দাড়িয়েছিল। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মারকারাম এবং ডেভিড মিলার। মারকারামের ৮৭ বলে ৯৩ এবং ডেভিড মিলারের ৬৫ বলে ৬৩ রান করেন। দলীয় সংগ্রহ ২১২ রানে মারকারাম ফিরে গেলেও, শেষের দিকে ম্যাক্রো জনসনের ২৩ বলে ৪৭ এবং ফিলুওয়াওর ১৯ বলে ৩৯ রানের ঝড়ে ৩১৫ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যাডাম জাম্পা ৩ উইকেট নিলেও রান খরচ করেছেন ৭১ টি। আর শন অ্যাবট ৫৪ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।

জবাব দিতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি অস্টেলিয়া। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নার ১০ রানে এবং জশ ইংলিশ কোন রান না করে ফিরলে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মারনাস লাবুশানে এবং মিচেল মার্শ দলকে টানার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত ৭১ এবং দলীয় ১২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। মারনাস লাবুশানে ৪৪ রান করে আউট হওয়ার পর, আর কেউ বড় স্কোর করতে পারেনি। ফলে ৩৪ ওভার ১ বলে ১৯৩ রানে অস্ট্রেলিয়া অল-আউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলীয়দের বড় ক্ষতিটা করেছে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ম্যাক্রো জনসন। ৮ ওভার বোলিং করে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ টি উইকেট। এছাড়াও কিশাভ মহারাজ ৯.১ ওভারে ৩৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ ‍উইকেট। ফলে, ১২২ রানের বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম ২ ম্যাচে হারার পর টানা ৩ ম্যাচের বড় ব্যবধানে জয়, বিশ্বকাপের আগে আফ্রিকার জন্য স্বস্তির। দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ৩ ওডিআইতে জয় ১১১,১৬৪ এবং ১২২ রানের। ফলে, আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপার বড় দাবিদার হয়ে থাকবে আফ্রিকা। যা করতে পারলে চোকার অপবাদ দুর হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।

4 thoughts on “অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

মন্তব্য করুন