আসন্ন জুনের ২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০২২ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ২ বৎসরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বদলেছে অনেকটা। যদি তাই হয়, তবে এবারের সম্ভাবনায় কার হাতে উঠতে চলেছে ট্রফি। বিশ্বকাপ শুরুর আগ মূহূর্তে কার সম্ভাবনাই বা বেশি।

গত বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড যে ধরনের ক্রিকেট খেলে জিতেছে তার প্রস্তুতিটা তারা নিয়ে ফেলেছিল অনেক আগেই। মারকাটারি ব্যাটিং এর প্রাকটিসটা সবচেয়ে ভাল করছিল ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের আগে ওডিআইকেও টি-টোয়েন্টি বানিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। তবে, সব ভাল যে ভাল নয় তার খেসারত আবার ইংল্যান্ডকে দিতে হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফর্মেন্সে।
তবে, তুলনামুলকভাবে এবারের বিশ্বকাপে শক্তিশালী দলগুলো নিজেদের মধ্যে শক্তির পার্থক্য অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। মারকুটে ব্যাটিং এ পিছিয়ে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত আর পাকিস্তানও। সু-সংগঠিত দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজও।
সুদীর্ঘ ২ মাসেরও বেশি সময়ে আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় শারীরীক ধকল পিছিয়ে দিতে পারে ভারতকে। রহিত শর্মা আর বিরাট কোহলীর মত সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য এই ধকল কাঠিয়ে উঠাটা অনেক কঠিন। বিগত বছর গুলোতে আইপিএলের ঠিক পরে পরেই বিশ্বকাপ ইভেন্ট গুলোতে অংশগ্রহন করে আসছে ভারত। ফলাফল, ২০১১ সালের পর আইসিসির কোন আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। এবারের সেরকমটি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল রভমেন পাওয়েলকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে। যে দলে নিকোলাস পূরান, অ্যান্দ্রে রাসেল, শিমরন হেটমায়ারের মত মারকাটারি ব্যাটার রয়েছে। এরপরও, দলটিকে ভোগাতে পারে বোলিং ইউনিটে রিয়েল কোন প্রতিশ্রুতিশীল বোলার না থাকায়। যদিও আলজারি জোসেভ, জ্যাসন হোল্ডারা রয়েছেন, তবুও বোলিং ইউনিটের দুর্বলতা দলটিকে বড় করে ভোগাতে পারে।
তাছাড়া, জশ বাটলারের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দলে রয়েছে বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন আর সাম ক্যারেনের মত ব্যাটার। বোলিং ইউনিটে ফিরেছেন জোফরা আর্চার যার বোলিং সঙ্গী রিস টপলি, মার্ক উডরা। এতকিছুর পরও বেন স্টোকসের অনুপস্থিতি আর জোফরা আর্চারের মাত্র ইনজুরি থেকে ফেরা অনেকটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড দলটিকে। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফর্মেন্স টি-টোয়েন্টি মনোবলেও চিড় ধরাতে পারে।
তবে, বিশ্বকাপের চোকার খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা দলটিকে এবার অনেকটা ব্যালেন্স মনে হচ্ছে। এইডেন মারকারামের পাশাপাশি, কুইন্টন ডি কক, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলাররা ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে সক্ষম। পাশাপাশি বোলিং ইউনিটে রয়েছে কাগিসো রাবাদা, এনরিক নরকিয়া, মারকো জনসনের মত বোলাররা। তাই, এবারের বিশ্বকাপে বোলিং ব্যাটিং সব বিভাগে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আফ্রিকা। শেষ মূহুর্তের চোকার খ্যাতি ঘোচাতে পারলে শিরোপা হাতে তুলতে সক্ষম দলটি।
তাছাড়াও, যেকোন আইসিসি ইভেন্ট মানেইতো অস্ট্রেলিয়া সম্ভাব্য ফেভারিটদের তালিকায় অন্যতম। দলটির অধিনায়ক প্যাট কামিন্সতো বলেই দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে ফেভারিটদের তালিকায় রেখে অন্য যেকোন দলকে রাখতে পারেন। ব্যাটিংয়ে ট্রাভিস হেড, টিম ডেভিড, ওয়ার্নাররা রয়েছেন। তাছাড়াও, মার্ক স্টয়নিস আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মত অলরাউন্ডারও রয়েছে দলটিতে। বোলিং ইউনিটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সাথে মিশেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউডরা রয়েছেন। তবে যাই হোক, শেষ মূহুর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা অস্ট্রেলিয়ার হাতেই হয়তো উঠতে পারে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি।
Techno rozen I very delighted to find this internet site on bing, just what I was searching for as well saved to fav