গুজরাট টাইটান্সকে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টর দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। গত ম্যাচের ম্যান অফ দি ম্যাচ মোস্তাফিজকে নিয়ে একাদশ সাজায় চেন্নাই। ৪ ওভারের বোলিং স্পেলে ৩০ রান দিয়ে ২ টি গুরুত্বপূর্ন উইকেট তুলে নিয়েছেন ফিজ। তাছাড়া, ২ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে পার্পেল ক্যাপ মাথায় তুলেছেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: চেন্নাই সুপার কিংস-২০৬/৬ (২০), রাচিন রবীন্দ্র-৪৬ (২০), রশিদ খান-৪-৪৯-২
গুজরাট টাইটান্স: ১৪৩/৮ (২০), সাই সুন্দরসন-৩৭ (৩১), মোস্তাফিজ-৪-৩০-২
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাই সুপার কিংসকে। বর্তমান ক্রিকেটের নতুন বিধ্বস্তী মুখ রাচিন রবীন্দ্র ওপেন করতে নেমে মাত্র ২০ বলে ৪৬ রান করে রশিদ খানের বলে স্টাম্পিং এর ফাঁদে পড়ে আউট হন। আরেক ওপেনার ঋতুরাজ গাইকাট সমান ৪৬ রান করেছেন ৩৬ বল মোকাবেলা করে। তিনে নামা অজিঙ্কা রাহানে নিজের স্ট্রাইক রেট বাড়াতে গিয়ে ডাউন দি উইকেটে এসে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফেরত যান।
তবে, অজিঙ্কা রাহানের ব্যাতিক্রম ছিলেন শিবাম দুবে। ৬ দিয়ে ইনিংস শুরু করা দুবে ২৩ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে তবেই ফিরেছেন। কিউই অলরাউন্ডার ২০ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও ঠিক মত বল টাইমিং করতে পারছিলেন না। শেষে সামির রেজভির ৬ বলে ১৪ রানে শেষ পর্যন্ত ২০৬ রানে থামে চেন্নাই সুপার কিংস।
গুজরাট টাইটান্সের হয়ে রশিদ খান ৪ ওভারের স্পেলে ২ টি উইকেট নিলেও রান খরচ করেছেন ৪৯ টি। তাছাড়াও, সাই কিশোর, স্পেনসার জনসন আর মহিত শর্মা ১ টি করে উইকেট দখলে করেছেন। টপ এটাকিং বোলারদের সবাই ব্যয়বহুল হওয়ায় চেন্নাই সুপার কিংসের রান রথ থামানো যায়নি।
অপরদিকে, ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ভাল শুরু এনে দিতে পারেননি ঋদ্দিমান সাহা আর শুভমন গিল। সাহা ১৭ বলে ২১ রান করলেও শুভমন গিল ৫ বলে ৮ রান করে আউট হন। তিনে নেমে সাই সুন্দরসন ৩৭ রান করলেও বড় খরচ করেছেন ৩১ টি। যা গুজরাট টাইটান্সের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল। তাছাড়াও, বাকি ব্যাটারদের বলার মত কোন স্কোর না থাকায় ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে ৬৩ রানের সহজে হার মানতে হয় গুজরাটিদের।
এদিকে, চেন্নাইয়ের হয়ে দিপক চাহার, মোস্তাফিজুর রহমান আর তুসার দেশপান্ডে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বোলিং স্পেলে প্রথম ২ ওভারেই ২৩ রান খরচ করে উইকেট শুন্যে ছিলেন। তবে, দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে আনার সময় গুজরাট টাইটান্স ততক্ষনে ম্যাচ থেকে সম্পূর্নরুপে ছিটকে গিয়েছিল। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মোস্তাফিজের শিকার হয়েছেন রশিদ খান আর রাহুল তেওয়াতিয়া।
এদিকে, শ্রীলঙ্কান মালিঙ্গা খ্যাত মাথিশা পাথিরানা দলের সাথে যুক্ত হওয়ায় মোস্তাফিজের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে, চেন্নাই সুপার কিংস মাথিশা পাথিরানা আর মোস্তফিজ ২ জনকেই খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পাথিরানা ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ টি উইকেট দখল করেছিলেন। অপরদিকে, জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ থাকায় গোটা সিজন জুড়ে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মোস্তাফিজের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও, চেন্নাই নাকি মোস্তাফিজকে রাখার জন্য বিসিবিকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে। তবে, সব কথা সময় বলে দিবে।